কেন বলোতো?
– সত্যদেব পতি
সময় বলছে এক লহমা তাহাতে হও লীন…
বন্ধু বিহনে রহিব তেমনই,জল ছাড়া যেন মীন।
ঠিক এমনি করেই সুন্দর ভাবে তুমি বলেছিলে আমি ছাড়া তোমার নাকি বেঁচে থাকার কনো মানেই নেই ।
সেদিন ঐ কথা শোনার পর আমার মনের গহনে কোথাও যেন এক ফিনকি আলো দেখলাম,
জীবন খাতার সাদা পাতায় লেখা হলো ভালো বাসা।
বেশতো চলছিল দিব্ব্যি ছিলাম, কেন এলে তুমি এক সমুদ্র তুফানি ভালো বাসা নিয়ে?
আমার মনের বাগানে তোমার নিজের হাতে লাগানো মালতি আজ অনেক ফুল ফুটছে কিন্তু তার সুবাস নেই।
কেন জানো?
তুমি আসোনি বলে,
তোমায় নিয়ে অনেক স্বপ্ন ছিল আমার মনের মধ্যে ।
যেদিন তুমি শেষবার এসেছিলে ঐ ষষ্টী বটের তলায়….
সেই বিকেলের পড়ন্ত রৌদ যখন তোমার মুখে পড়েছিল,
তখন তোমার রুপবন্হী ছিল বৈশাখের দুরন্ত দুপুর ।
সেই জলন্ত রুপেরছ্টা ঠিকরে পড়লো আমার হৃদয়ের মনিকোঠায়,আমি আপ্লুত হয়েছিলাম ,।
তোমার একটা কথায় সেদিন আমার সাজানো বাগানে এসেছিল দরন্ত কালবৈশাখী।
তোলপাড় হয়েছিল মহাসাগরীয় জলোচ্ছাসে।
আমার প্রেমের আঙিনায় সাধের সাজানো বাগান তছনছ করল আর নিভৃতে করলো নিঃশব্দ অশ্রুপাত।
তুমি বললে এবার ভুলে যেও।
পারলাম না তো …..
আজও সেই পথ চেয়ে বসে আছি তুমি আসবে বলেই।
আমার জীবন আকাশে এখনো দুর্যোগের ঘনঘটা,
তিল তিল করে প্রতি মুহুর্তে মৃত প্রায় হচ্ছে ভালো বাসা।
দাবানলের মতো লেলিহান শিখায় মনের আকাশে কালো ধোঁয়ার কুন্ডলী…
দিনের সুর্য যেন পড়ন্ত বিকেল,পুর্নিমার চাঁদের আলো জোনাকীর মতো টিমটিম করে।
জনকোলাহলে নিরবতা,দুচোখে প্রবহমান ঝর্না ধারা,
তবুও মন বলে একদিন ঠিক আসবে তুমি, তাই আজও আমি বসে রই বাতায়ন খুলে।